একটা রোমাঞ্চকর গল্প ( সুপ্ত সত্য)

 



__রটে গেলো এক নিষিদ্ধ উপন্যাস, লাইন গুলি বে লাইন। চার দিকে হা হা কার আর আর্তনাদ, ঘনঘটা অন্ধকার, এদিকে মায়া, অন্য দিকে পিষাচ প্রমিক। যে মাতাল তার ভাবনায়!কি চায় সে,এমন এক কাল সময় এ কি হবে।পালিয়ে যাবে সেই তো আবার ভালোবাসার বিষ মারবে,কাছে আনবে, গোলাপের সুগন্ধি খাটিয়ায় শোয়াবে।

পিপাসিত এই প্রমিক শক্ত করে চেপে আছে,চেপে ধরাটাই তার ভালোবাসা,পালাতে যাবে আবার ঠোঁটে সেই চুম্বন, ঘাড় জুরে কাছে পাওয়ার চাদঁ দেখা  যায়, গভীর রাতে এক চমৎকার স্বাদ ঠোঁট এ বিষফোরন,মিলে যাচ্ছে দেহ,শান্ত দেহ তবুও পালিয়ে যাবে এই তো সময়, পালানোর সে এখন ঘুমিয়ে,দরজায় পা পরলো না আবার হেচকা টান, আবার চুম্বন, সেই ভালোবাসা রাগ জিদ মেশানো দৃষ্টি পরছে শরীর এ,নিজের থেকেও নিজের করছে।শুরু করে দিলো এক পৈশাচিক প্রেম কাহিনী। সাময়িকা কি বাচাতে পারবে নিজেকে?

কি থাকতে পারে এই ভয়ানক ভালোবাসায় চলুন জানি।

__সাময়িকার ২০ বছর বয়স, সে এবার বাংলাতে অনার্স করছে,বেশ কিছু দিন যাবত একটা ছেলে তাকে ফলো করছে।এতে তার ভালোই লাগছে বাট ছেলেটা কি যেনো বলতে চায়,তার সামনে আসলে বলতে পারে না এটা সাময়িকা বুঝে।দেখতে সুদর্শন, ব্যায়ামপুষ্ঠ বডি।হাসলে গালে টুল পরে।

__লাইব্রেরিতে সব সময় দেখা হয়।আজ দুজন এক টেবিল এ বসেছে।কেউ কথা বলছে না।

নিরবতা ভেঙে সোজন্য বললো।

__আমি সৌজন্য মনোবিজ্ঞান নিয়ে পরছি ৩য় বর্ষ।তোমাকে আমার ভালো লাগে! 

__সাময়িকা রীতি মতো ধাক্কা খায়।তার চোখ এ মায়া, ছেলেটা চায় কি।


__কি বলছেন আপনি? মাথা ঠিক আছে?

__না নেই!  কারন তুমি।বিয়ে করবো তোমায়। 


একটু আগে তাকে ভালো লাগেলেও এখন বিরক্তি লাগছে।

__দেখুন আপনি কি বলছেম এসব আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। প্লিজ দূরে থাকুন, বন্ধ হতে চাইলে পারতেন,বাট এখন সেই সুযোগ ও নাই।

__বিয়ে করবো তোমায়! 

__আমি না করলে? 

__ তুলে নিয়ে বিয়ে করবো।

__সাটআপ। সাইকো থেরাপি দিতে নিয়েন।

__তাহলে যে আরো পাগল হবো।

কথা না বারিয়ে চলে গলো বারিতে।একটা সুদর্শন ছেলে এমন হতে পারে ছিহ! ভাবতেই ঘৃনা লাগছে।


__বাবা ঘরে এসে দেখে তার রাজকন্যা রেগে মেগে একাকার।মেয়েকে সে মিনু ডাকে।

__মিনু কি হয়েছে মা। 

__বাবাই এক ছেলে আমাকে বিয়ে করবে বলেছে।

__ সেকি কে।

__জানি না কোথাকার কে কে জানে।


মিনু মা আজ কলা বিয়ে! মারে হুট করে এই সিদ্ধান্ত। 

__মানে! মাথা ঠিক আছে,আমি আরিফকে ভালোবাসি।ছেলে কি করে।

__ব্যবসা করে।মুহাম্মাদ পুর এ বাড়ি।অনেক সুখি হবি।বাবার এই কথাটা রাখ মা।

__বাবা হাত নামাও,কেনো আমার মতামত ছাড়া তোমারা এমন করলে,আমি আরিফ কে কি বলবো।

__মা আমরা যা করছি তর ভালো হবে।

__জাহিদ হাসান বেরিয়ে গেলেন,সাময়িকা আরিফকে কি বলবে কতো স্বপ্ন দেখিয়েছে, দেখেছে দুজন।না না আরিফকে ফোন করা দরকার,সাময়িকা ফোন হাতে নিয়ে কল কারলো।

__হ্যালো আরু(আরিফ)  আমার বিয়ে ঠিক করেছে বাবা।

__মানে কি বলছো তুমি? চলো পালিয়ে যাই।

__তাই করবো।

__কাল সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে তোমায় আনবো।

__ হুম।


___সাময়িকা বাচলো, কোন ছেলে কি করে সে জানে না,আর আরিফ কে ভালোবাসে। ছেলেটা ভালো। মাথা ভর্তি চুল মুখ ভর্তি দারি,তার ভালো লাগে।কেনো সে জানে না।

__একটা অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ....

বলেছিলাম না বিয়ে করবো! বউ! 

__এসব কি হচ্ছে কার সাথে বিয়ে আর এটা কে,সৌজন্য লাইব্রেরিতে এই কথা বলেছিলো তাহলে কি সৌজন্যে!!!  না না ঐ ছেলে সুভিধার না।

__যে করেই হোক কাল পালাতেই হবে।ফোনটা অফ করে ঘুম দিলো।

সকালে বার বার আরিফকে কল দিচ্ছে সাময়িকা ফোন তুলছে না, এক সময় ফোন অফ।কিছু সময় পর মেসেজ এলো তোমার নাগড় ফোন ধরবে না। রেডি হও আমার জন্য, মিষ্টি সকাল টা সাময়িকার খারাপ হলো।

__সাময়িকার মাথা ঘুরতে লাগলো,মনে হচ্ছে সে একটা গারিতে আছে,সাথে একটা যুবক, সাময়িকার গায়ে বিয়ের শাড়ি,তার বুকে মাথা দিয়ে আছে,লেকটার মুখ আবছা,লোকটা তাকে আকরে ধরে আছে হঠাৎ একটা ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দিলো সাময়িকা দেখছে সে মরে গেছে,আর যে লোক এর সাথে ছিলো সে আর কেউ না সৌজন্য,লাশবাহি গারিতে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

লেখাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী

চলবে.........



Post a Comment

Previous Post Next Post