কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যুর নতুন মোড়
গুঞ্জন উঠেছে তার স্বামী মামুনই নাকি মেরে ফেলেছে,এটি তার ছেলের মন্তব্য। শিক্ষিকার সাথে নাকি তার ছেলের ৪০ সেকেন্ড কথা হয়ছে।তিনি তার ছেলেকে বলেছে,যে আমি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছি,এবং তার ছেলে নাকি মামুনকে ফোন করে বলে মা ঘুমের ঔষধ খেয়েছ। এটি তার ছেলের মন্তব্য।
এবং মামুনপ পুলিশ কে বলছে তার স্ত্রী মাঝে মাঝে ঘুমের ট্যাবলেট খেতো।
মানুষ বেচে থাকতে কখনো তার মূল্য না। যখন সে কোন কাজ করে তখন তাকে ট্রেলের শিকার হতে হয়। বলছিলাম সেই শিক্ষিকা কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করেছিলেন তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার মনে হয়না এটা কোনো মার্ডার । পোস্ট মর্টেমে হয়তবা সুইসাইডাল কিছু আসবে ।
চিনতে পেরেছেন তো। স্বামী/ছাত্র-তরুণ ছেলেটি বলেছিল “মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা।
মনে হচ্ছে মন্তব্য হয়তো গন্তব্য ঠেকিয়ে দিয়েছে ! প্রথম বিয়েতে শিক্ষিকা সুখি ছিলেন না । সেখানে অনেক বেদনার ঘটনা ঘটেছে । সেই বেদনা থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি । কিন্তু মু্ক্তি মিলল কই ? সে পর্যন্ত তাকে মরতেই হলো। একটু একটু করে না মরে একেবারেই চলে গেলেন তিনি।
সমাজে আমরা কোনো পুরুষ তার চেয়ে অর্ধেক বয়সি নারীকে বিয়ে করলে খুব খুশী হই । মনে হয় এটা স্বাভাবিক । অথচ কোনো নারী তার চেয়ে কম বয়সী কাউকে বিয়ে করলে মনে করি এটা অপরাধ ! কেনোরে ভাই ? উনি তো বিয়ে করে অপরাধ করেননি ! যদি উনি পরকীয়া করতেন তাহলে সেটা নরমাল। যদি একটা পুরুষ মাঝ বয়সে এসে বউ ঘরে থাকা স্বত্বেও আরেকটা বিয়ে করে তাহলেও সেটা নরমাল। কোন বিষয় না। যদি সে মহিলা হয় তাহলেই সমাজের মুখে চুন কালি লাগে,মনে হয় সোসাইটি তার জন্য মুখ দেখাতে পারছে না। অনলাইন জগতটাই তার পরিবার। সেই মহিলার সব কিছু তাদের দায়িত্বে। তাহলে আজ যে মানুষটি নেই তার কি হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে যেভাবে কাটাছেড়া করা হয়েছে, তাকে যেভাবে অপমানিত করে ট্রল করা হয়েছে-সেটাই হয়তো তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ।
যদি এটা আত্নহত্যাও হয়ে থাকে, আমার কাছে এটা সাইলেন্ট কিলিং, এবং দায়ী আমরা । আমাদের সমাজ এর জন্য দায়ী। ফেসবুক দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠছে ।মানুষের সামন্য কোন ভুল থাকলে সুযোগ পেলে সেখানো ঝাপিয়ে পরেন। কত মানুষকে ডিপ্রেশনে নিয়ে যাচ্ছে, খবর রাখেন। রাখেন কি সেই সব খবর।
কেউ নিজের মতো ভালো থাকতে চাই নান।না অন্যের সুখ দেখতে পারি না দুঃখ। দুঃখে লবন মরিচ মাখতো পিছপা হই না। এই যে সাময়িক মজা পাওয়ার জন্য ডোপামিন এর উত্তেজনায় মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি, তির্যক মন্তব্য করছি- এসবই বিষ । এসবই নীরব ঘাতক। আমরা কতো শত সভ্যতার বল দেখাই কই আমাদের সভ্যতা আজ। মানুষ আর প্রানীর মাঝে পার্থক্য কোথায় থাকলো। মানুষ সেই তো বুঝেও হিংস্র প্রানীর মতো আচরণ করে।আচ্ছা বলেন তো
আমরা কি সংশোধন হব আদৌ? দায়ী করছে তার পরিবার তার বর্তমান স্বামীকেই! কেনো? সে যদি এমন কিছুই করতো তাহলে তো বিয়ে করত না। আসলে আমরা সহজ বিষয় বুঝতে নারাজ। সভ্য সমাজ বলে কথা।
আমরা কি সংশোধন হব আদৌ? আপনি কি বলেন।